Header Ads

বড় মাছটি তোমার, জান্নাতি ফেরদৌসী জাকিয়া


বড় মাছটি তোমার
)জান্নাতি ফেরদৌসী জাকিয়া(

এক ছিল কৃষক। সে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তার মনে হলো যে তার স্ত্রী তাকে মাছ নিয়ে আসতে বলেছে। সে বর্শি নিয়ে নদীতে গেলো মাছ ধরতে। কয়েক ঘন্টা কেটে গেলো কিন্তু সে মাছ পেলো না। তারপর কয়েকটা কৈ মাছ পেলো। মাছ পাওয়ায় তার খুব আনন্দ হচ্ছে।
বাড়িতে এসে মাছ গুলো তার স্ত্রী কে দিয়ে ভালো করে রান্না করতে বলে সে গোসল করতে যায়। এদিকে কিষাণী ভাবলো, “এত কষ্ট করে কেঁটে,ধুইয়ে রাঁধলাম। তাই বড় মাছটা আমিই খাব।
খেতে বসলো কৃষক দম্পতি। বড় মাছটিতে বেচারা যেই হাত লাগালো,অমনি কিষাণী চেঁচিয়ে উঠলো। এত কষ্ট করে রেঁধে হাজির করলাম আর আপনি কি না বড়টা নিয়ে টানাটানি করছেন! কৃষক বলল, “তুমি কষ্ট করেছো ঠিকই কিন্তু আমি এনে না দিলে তুমি পেতে কোথায়?” শুরু হলো তুমুল ঝগড়া। কেউ ছাড় দিতে রাজি নয়। দু জনেরই বড় মাছটি চাই। তাই তারা একটি চুক্তি করলো যে, তাদের মধ্যে যে কথা বলবে সে বড় মাছ থেকে বঞ্চিত হবে। তখন বড় মাছটি অপরজনের হবে।
শুরু হলো শর্ত পালন। দরজায় খিল দিয়ে তারা শুয়ে পরলো। দিন যায়........একদিন, দুইদিন,তিনদিন যাবত কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে গ্রামবাসীরা তাদের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকলো। কিন্তু কেউ কোনো কথা বলল না। তখন গ্রামবাসীরা ভাবে তারা মারা গেছে। তাদের গোসল করিয়ে কাফন পরানো হলো। তবুও তারা কোনো কথা বলল না। কৃষক মাঝে মাঝে তার স্ত্রীকে চিমটি কাটেন, যাতে সে কথা বলে। কিন্তু উল্টে তার স্ত্রী তাকে চিমটি তাকে কথা বলতে বলে। তাদের জানাযা সম্পন্ন হয় ইতোমধ্যে গ্রামবাসী খাটিয়ায় করে তাদের কবরস্থান নিয়ে যায়। এবার কবর দেয়ার পালা। প্রথমে কৃষককে তারা কবরা নামালেন মাটি দেয়ার জন্য। ঠিক তখনই কৃষক বলে ওঠে,
হার মানলাম এবার
বড় মাছটি তোমার
তাদের কথা শুনে গ্রামের মানুষ ভয়ে পালিয়ে গেলো। তখন কৃষক তার স্ত্রী বাড়িতে গেলো মাছ খাওয়ার জন্য। কিন্তু ততদিনে মাছ পঁচে গেছে। তাই বড় মাছটি কারোরই খাওয়া হলো না।
লেখকঃ ৯ম(প্রভাতি),কুড়িগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

No comments

বড় মাছটি তোমার, জান্নাতি ফেরদৌসী জাকিয়া

বড় মাছটি তোমার ) জান্নাতি ফেরদৌসী জাকিয়া ( এক ছিল কৃষক। সে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তার মনে হলো যে তার স্ত্র...

Powered by Blogger.